শুভজিত ঘোষাল


ক্রমে সরল হয়ে যাচ্ছি অবিকল

চিরতার অভিলাষে শুয়ে থাকি
যেতরে দিগ্বিদিক হয়ে আছে আলো
তাহারি কোলের কাছে বাতাস এসেছে
বিষম সম্পর্ক ও কলেবরে মাখা
যেতরে বহুময়ী হয়ে ওঠো চিরতর ঘুমে
তার মেদ থেকে খুলেনি জামা
জরিপের মধুময় রাত, কবিতার নাতিদূর
ভ্রমণের অভিমুখে দাঁড়িয়েছি দুজন
যেমত আলোর নীচে শুয়ে থাকে শিশু
বিলাপের ভাষা,
আহাঃ এতসব পরেও
থেকে যায় প্রেম,
তুমি শুয়ে আছো আমি শুয়ে থাকি
যেতরে আমাদের ম্লানময় দেখা
যেতরে আমাদের বিশ্বস্ত ঘুম
তুমি জেগে গেলে আমাদের
ভালোবাসা নুড়ি হয়ে ভাসে
আমি জেগে গেলে যাহারা
মৃতময় কনিকার দেশ
দরীদ্র উটের কূঁজে বিদর্ভ ক্ষেত



দীগন্ত পেরিয়ে দ্যাখো বৃষ্টি নেমেছে
অনাহত গার্হস্থের গান
তুমি আমি ভেসে আছি বিদ্যুৎ বেগে
বাতাসে ভালোবাসা নিরাময়
শার্শি ভিজেছিল সে কালকের ছাট
আজ বাড়ি নিরাপদ
ছপ্ছপ্পায়ে দেখো মানুষবন্যা
আর ঢেউ থেকে ফিরে আসা দেহ
আমিও ভাসিয়ে দেব যাবতীয় প্রতিরূপ
যেদিকে গায়ের সাথে ঝুলে থাকে মায়া
নিরাপদ বাড়ি তার কাঁকড়ার ঘর
নিরাপদে এসো বধূ
বাইরে খুব ঝড়


গঠনের মাঝামাঝি এসে
ভেঙে গেছি দ্যাখো
যতটা ঋজুতা তুমি ধরে দিতে পারো
অরণ্য সন্নিকট
গমন প্রার্থি সেজে দেবতার ঘুম
যতটা পরিচিত নয় ভাসানের বিউগল
যেভাবে বেজেছ কাল
যে নদীর ভাষা থাকে
বয়ে যেতে দেখি
যে নদী স্রোত ভুলে যায়
আমি আলপথ ভাবি

তাঁকিও না মরুতা
বিভোর ওই দিকে
আমাদের
ধেয়ে চলা সূচনা,
তোমার পায়ের কাছে
বিনীত মায়ের লোভ
বাবাদের চোখে যেন
সূর্যের ভীড়


No comments:

Post a Comment