৬৪৩.
আকুলতা গেড়েছে ঘাঁটি, রূপহীন জাগানিয়া লোর
ছেড়ে যেও নাকো তুমি ওগো, অমানিশা ঘোর!
অদৃশ্য আধুলি জুড়ে ছেঁয়ে থাকো সদা উন্মেষিত এ রেতে
ভেসে থাকো সিকি ভাগে হিমবাহে অভ্রচূড়া, জলজাত খেতে।
৬৪৪.
মায়ামৃগ জেগে ওঠো অশনিসংকেতে
অক্ষৌহিণী অশরীরী পাহারায় আছে
তৃষাতুরা পা বাড়ায় দুরন্ত ছটফট
চেনাগন্ডি পার হয় মায়াময় ছায়ানট।
৬৪৭.
কি সে মধুর ছেয়ে থাকে সুসুপ্তির বৃত্ত ছেপে
বাঁশরি কে বাজায়, চিনি নাতো আমি তাকে
সুরকে আপন করি, জীবন ভরে ওঠে রেশে
সে থাকে অন্তরালে, বাঁশরি বাজায় ভালোবাসে।
৬৪৮.
অভাব রয়ে গেল জীবনের পঙক্তিতে পঙক্তিতে খেদ
তবু জেনে নিতে চাই, থাকা না থাকার সম্যক ভেদ।
কিভাবে অভেদ তুমি রয়ে যাও ভেদে ও অভেদে
আমি খুঁজে মরি অদ্বৈত দ্বৈতের গূঢ় সম্বোধে।
৬৪৯.
অবাক দেখে যায় কি লাবণ্য, কাজল নয়না হরিণী
আদিতম বলা, চলা, ভোলাভালা হাভাতে মেঠো রমণী!
লালপেড়ে শাড়ী তার, মাথায় গোঁজা লালজবা ফুল
সারল্য মেলেছে চোখ, মাদল মাতাল মন তুলতুল।
No comments:
Post a Comment