অয়ন ঘোষ


সাম্প্রতিক লোলসর্বস্ব অথবা অন্যভাবে বললে রিয়্যালিটির অ্যাসহোল

বিস্মৃতিকাতরতা আঠার মতো। লোলুপ। আর বিস্মৃতিকাতরতা, জিজ্ঞাসাটোটাল সময় নিদারুণ বিস্মৃতিকাতরতা। তুমি ভুলে যাচ্ছো হয়তো বা মনে রাখছোনা, আমি চলে যাবো আজ নারকেল গাছগুলো পেরিয়ে বহুদিন বাদে লিখতে বসেছি। তোমার লোপাট স্মৃতি আমাকে পায়খানার কথা মনে করায়, ভর সন্ধ্যায়। এমনই হয়। আমি চাইলেই তোমাকে আঁকতে পারি। এটা অ্যাবস্ট্রাক্ট হবে হুবহু। কোনও শব্দ ছাড়াই আরও একচল্লিশটি সিঁড়ি পেরবো আমি ও ঠাণ্ডা মেঝেতে আঠার মতো বসবো। মশারা বড়ই চঞ্চল। আমাকে শৈশবের হাজার দু’য়ারির কথা মনে করায় আর সকালেও আগের মতোই ড্রিল মেশিনের শব্দ ও ভোঁ ভোঁ কান। কোথায় আমার শহরের যত সব চড়াই পাখিরা সব নেমে আয় তো এইখানে... তার কবিতাটাই তার কান্না। তার সান্নাটাই তার চিৎকার। তুমি শুনতে পাচ্ছো না অথবা বুঝতে পারছো না কিন্তু সময় এগুলো ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত যদিও আমরা কখনো কখনো ভুলেও যাই সেই সব। আমাদের শীতকালের ম্লান গোড়ালির কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে নৌকো ও উঠোনের কথা, ঘাসেদের কথা। কচি সবুজ ঘাসেরা হাওয়ায় নৃত্য করে। আমি উন্মাদ হয়ে যাই। ছাদের পাঁচিলে উঠে পা ঝুলিয়ে রাস্তার দিকে মুখ রেখে বসে থাকি। এটা হয়তো দু'হাজার আঠারো, তুষার মনে করায় আমায়। ওহ্! আমি একা থাকলে একা থাকছি না আর একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় চমৎকার সুদূর পলায়ন। কিন্তু শিল্প মাধ্যম গুলি ভিন্ন তবুও সম্পর্কিত একে অপরের সাথে, য্যমনটা হয়। তারাই বাঁচায় আমায়। আমি তন্ময় হয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে থাকি। চোখে ধাঁধাঁ লেগে যায়। ইগোকে আমরা বহুদিন আগেই হয়তো নস্যাৎ করে ছেড়েছি। তুমি যেটা দেখছো বা ভাবছো, সেটা পিয়ানো। অতএব বাজাও সুন্দরী অমন পিয়ানো...
                 চিৎকার
              কোরো না   


আনত ভোরের দিকে অনিশ্চিত সুইসাইড

একে অপরের মুখ দ্যাখাদেখি বন্ধ হয়ে যাবে বোধহয়। একটা বাক্য খুঁজতে পুনরায় গাঁড় ফেটে চৌচির। পিঁপড়ের হাঁটাচলা দেখছি। তোমার তলপেট থেকে মেদ খসে পড়ে সেখানে বন্দর হলো। আরও কিছু জাহাজ ভিড়লো সেখানে। কে বলতে পারে সময় কতটা? আমরা বড়জোর এর ওর মুন্ডু সেলাই করতে পারি। গঙ্গা থেকে হাওয়ার সাথে সঙ্গীত এসে আমার পা বেঁধে রেখেছে। নাটক পুলিশেরা শুরু করেছিলো। সে আমাকে বুঝতে পারেনি এখনো পুরোপুরি। তাছাড়া সম্ভবও নয়। আমি জীবনের কাছেও কোনো আশা রাখি না এমনকি, গোঁফ কাটলে আমাকে হিজড়ে বলা চলে। এই রথের চাকা ফুঃ দিয়ে ঘুরিয়ে দেবো আমি একদিন। এখন নিজেই বাজাচ্ছি দ্রিদিম। আর প্রকৃতি, আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করছে। দৃশ্যে নতুন ফ্রেমযোগ। লেডিজ বিউটি পার্লারে সবাই আমাকে অবাক হয়ে দেখছিলো। আমি কাজটা মিটিয়েই এখান থেকে হাঁটা দেবো। হরিবল্! এত চিৎকার এত শোরগোল এত পাতা এত পালক এত পুঁজ এত রক্ত এত ঘুম এত ঘাম এত বমি এত পেচ্ছাপ এত ভ্রূণ এত বালি এত কাদা এত শ্লীল এত অশ্লীল  এত মুখ এত মুখোস এত ট্রাফিক এত অঙ্ক এত ইতিহাস এত লোম এত জল এত গরম ভেদ করে আমি পালিয়ে আসি আমাতে। এসে চুপ করে বসি। আর বলি, তোমরাও চুপ করে বসো। কেউ কোন কথা বোলো না আর। যা শোনার শোনো। এখনই সময় ভাই, যদি তুমি ভাবো।
         
          চুমকি দিয়ে সাজানো হয়েছে ময়ূর। কৃষ্ণরঙ তার উজ্জ্বল মসৃণ গায়ে। নদীবক্ষে জলযানগুলি চাঁদের আলোয় এপার ওপার হয়। পাড় থেকে হুহু করে ভেসে যায় ধোঁয়া, মিশে যায় দ্রুত। মড়া পাতা সকলই পুঁড়ে যায় বসন্তের প্রথম দিনগুলিতে গ্রীষ্মের শুড়শুড়ি এই কপাল ভিজিয়ে তুলতে সক্ষম। আমি ছদ্মবেশ ধরে এর ওর ঘরে ঘুরে ব্যাড়াই। জীবনটা রাস্তায়। মুখোসহীন। পোঁদ বেঁকিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে দুর্যোগ। মৃত চামড়াগুলি নিয়ে পিঁপড়েরা ওই খেলতে লেগেছে আবারও। বাবার স্ক্যান্ডালগুলো বাবার জুতোর মতোই দেখতে হুবহু। আমাকে ফুৎকারে নেভাতে পারলে এক নতুন সূর্যোদয় হবে।

No comments:

Post a Comment